বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪

একজন কমবয়সী সফল আইটি ব্যক্তির বক্তব্য শুনুন, অনুপ্রেরনা পাবেন
ভারতে ‘এডুকেশন সিস্টেম ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক একটি সেমিনার বসে ২০০৩ সালে। ব্যাঙ্গালুরু সেমিনার শুরু হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর একটি গাড়ি এসে ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের গেটে দাড়াঁয়। বাইরের সিকিউরিটি গার্ডরা ভেবেছিল কোনো প্রতিষ্ঠানের সিইও হয়ত এসেছেন। এজন্য এগিয়ে যেতেই দেখলেন গাড়ির ভেতর থেকে ১৭ বছর বয়সের একটি ছেলে বেড়িয়ে এল।
এ সেমিনার কক্ষে প্রবেশ করতে গেলে বাধা পায়। তাকে জানানো হয়, এ সেমিনারে অংশ নিতে হলে কোনো প্রতিষ্ঠানের সিইও হতে হবে। কোনো কলেজ পড়ুয়ার জন্য এ সেমিনার না। বিড়ম্বনায় পড়ে ছেলেটি ফোন দেয় সেমিনার উদ্যোক্তাদের। তারা এসে ছেলেটিকে স্বাগতম জানায়। আর ওদিকে সিকিউরিটি গার্ডরা হতভম্ব!
ছেলেটির নাম সুহাস গোপিনাথ। ব্যাঙ্গালোরের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান গ্লোবালের সিইও এবং একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট। সুহাস বিশ্বে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধান নির্বাহী হিসেবে উল্লেখযোগ্য একটি নাম।
কে এই সুহাশ? এত কম বয়সে কিভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করল! এমন প্রশ্ন সবার ভেতরই আসতে পারে। তার সেই গল্প সে নিজেই করেছিল এক সাক্ষাৎকারে। পরে তা একটি গল্প আকারেই অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগে প্রকাশ পেয়েছে। অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো এ গল্প অনুবাদ করে স্বপ্নযাত্রার পাঠকদের জন্য তুলে দেওয়া হলো।
আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। বাবা ইন্ডিয়ান আর্মিতে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করতেন। এজন্য এয়ার ফোর্স স্কুলেই আমি পড়াশোনা শুরু করি। ছোটবেলায় থেকে এ পৃথিবীর প্রাণীকূল নিয়ে আগ্রহবোধ করতাম। কিন্তু সেই বয়সে আমার বন্ধুরা সারাদিন কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকতো। তাদের কাছে গল্প শুনতাম। এই যন্ত্রটির প্রয়োজনীয়তার কথা শুনে বাবার কাছে একটা কম্পিউটার কেনার আবদার করলাম। সেই সময়টাতে কম্পিউটারের দাম অনেক বেশি ছিল। তাই কেনার সামর্থ্য বাবার ছিল না।
পরে ভাবলাম বাসার কাছে সাইবার ক্যাফে আছে, সেখানে গিয়েই কম্পিউটারের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক। আমি প্রতিদিন সাইবার ক্যাফেতে যেতাম। আমি বিস্মিত হতাম। এ অদ্ভুত যন্ত্রটি দিয়ে করা যায় না এমন কিছুই যেন নেই। আমি ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচিত হলাম। নিজে নিজেই ব্রাউজ করা শিথলাম।
বিভিন্ন সাইটে গিয়ে ঘুরে আসতাম। তখনই হুট করেই মনে হলো, ব্রাউজ করার জন্য আমরা যে ওয়েব সাইটটি দেখতে পাই সেটা বানানোর কৌশলটা কিভাবে রপ্ত করা যায়। ব্রাউজ করেই তখন একটি ই-বুক খুঁজে পেলাম। বইটি পড়ে পড়ে হালকা কাজও করতাম।
আমি টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানেই কাটাতাম। কিন্তু সেই টাকার পরিমাণ অল্প ছিল বলে আরও সময় থাকতে পারতাম না। তখনই খেয়াল করলাম সাইবার ক্যাফেটি দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আমি এরপর সাইবার ক্যাফের মালিককে একটি প্রস্তাব দিলাম। তাদের বললাম, আমি এ সময়ে আপনার ক্যাফেতে কাজ করবো। আপনার গ্রাহকদের খেয়াল করবো। সেজন্য কোনো টাকা নয়, আমাকে অফুরন্ত সময় ফ্রি ব্রাউজিং করতে দিতে হবে।
আমার কথা শুনে মালিক প্রথমে অবাক হয়ে গেল। তিনি আমাকে কাজ করার অনুমতি দিলেন। এটাকে আমার জীবনে প্রথম কোনো ব্যবসায়ীক ডিল বলতে পারেন। যদিও এখানে টাকাটা মূল বিষয় ছিল না। মূল বিষয় ছিল আমার আগ্রহ।
সুযোগ পেয়েই আমি কাজে নেমে পড়লাম। আমি নিজেই পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট তৈরি করতে শুরু করলাম। এরপর ওয়েবসাইট তৈরি করাই আমার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে গেল। শুরু করলাম ফ্রি-ল্যান্সিংয়ের কাজ। যখন আমি প্রথম কোনো ওয়েব সাইট তৈরি করার প্রস্তাব পেলাম তখনও আমি ছোট।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটে নিবন্ধন করারও বয়স হয়নি। এজন্য ওয়েবসাইট বিল্ডার ক্যাটাগরিতে আমি নিজের নাম নিবন্ধন করলাম। খুব কম খরচে আমি প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তৈরি করে দেই। তা বানিয়ে একশ ডলার আয়ও হয়।
কিন্তু এ বয়সে আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই বাবাকে সব বিষয়ে বলতে হলো। এর আগ পর্যন্ত বাবা কিছুই জানতেন না। বাবাকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা বোঝালাম। আমার বাবা বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে কিছুই বললেন না। আমাকে খুশী মনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দিলেন।
আমার কাছে টাকা এসে পৌছালো। কিন্তু কোনোভাবেই অর্থ আমাকে টানছিল না। কারণ আমার কাছে শেখার আগ্রহটা বড় ছিল। মনে হচ্ছিল এখনও অনেক কিছু শেখার আছে। এমনও বহু ওয়েবসাইট সেসময় আমি তৈরি করেছি একদম ফ্রিতে। অনেক প্রতিষ্ঠান আমার কাছ থেকে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিয়েছে।
ধীরে ধীরে মনে হলো নিজের একটা পোর্টফোলিও থাকলে ভালো হয়। তাই নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করি। যেখানে আমার স্কিল সম্পর্কে উল্লেখ ছিল। এরপরই বহু প্রতিষ্ঠান আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা শুরু করে।
আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন কম্পিউটার কেনার টাকা জোগাড় হয়ে যায়। কিন্তু সে সময় আবার আমার বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শুরু করল। তাই বাবাই কষ্ট করে ভাইয়ার জন্য কম্পিউটার কিনে ফেলল। তাই আমার আর কিনতে হয়নি। তখন কিছু মজার ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান আমাকে চাকরির প্রস্তাব দেয়। তখন আমার বয়স সবে ১৪।
একটি নেটওয়ার্ক সলিউশন প্রতিষ্ঠান আমাকে বলে, তোমার পড়ার সমস্ত খরচ আমরা দেব। তুমি এখানে পার্টটাইম কাজ করবে এবং পড়াশোনা করবে। কিন্তু ততদিন আমি বিল গেটস আমার আদর্শ হয়ে উঠেছে। কারও জন্য কাজ নয়, নিজেই কিছু করার ইচ্ছা আমার ভেতর তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। সেজন্য সেই চাকরির প্রস্তাব তখন গ্রহণ করিনি।
শুরুতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে গেলেই সবাই আমার বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুলতো। এজন্য নিজের প্রতিষ্ঠান শুরু করি। তারপর সবাইকে বোঝাতে চাই, কাজটাই আসল। বয়স আর শিক্ষাগতযোগ্যতা এখানে মূখ্য নয়। এমনকি আমার প্রতিষ্ঠানে নীতিতেই আছে, কাজ জানলেই যেকোনো তরুণ এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবে। এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা কিংবা বয়স কোনো মূখ্য বিষয় নয়।
ক্লাস নাইনের সামার ভ্যাকেশনেই ‘গ্লোবাল’ নাম দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠান শুরু করি। যুক্তরাষ্ট্রে এ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন হয়। ভারতে নিবন্ধন করতে গেলে ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স লাগে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে নিজের প্রতিষ্ঠান চালু করতে লাগে ১৫ মিনিট। আমার এক বন্ধুকে দিয়ে নিবন্ধন করাই। সে গ্লোবালের একজন বোর্ড মেম্বার।
অবাক কান্ড! আমি একটি প্রতিষ্ঠানের সিইও! আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই। প্রথমদিন থেকেই আমি স্বপ্ন দেখি একদিন আমার প্রতিষ্ঠান হবে মাক্রোসফটের মতো বিখ্যাত।
বাবা-মাকে কিছুই জানাইনি। পুরো বিষয়টি আমি গোপন রাখলাম। কারণ তারা শুনলেই বলবেন, পড়াশোনার ক্ষতি হবে। আমি কাজ শুরু করলাম। প্রথমে ওয়েবসাইট তৈরি, অনলাইন শপিং এবং ই-কমার্স সলিউশন দিয়ে শুরু করি। আমরা অনেক প্রোগ্রামারকে পার্টটাইম জব দিয়েছিলাম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রচুর কাজ পেতাম তখন। মজার বিষয় ছিল, আমাদের তখনও কোনো অফিস ছিল না।
আমি খেয়াল করলাম ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বড় আইটি মার্কেট। যেটা একদমই ফাঁকা। আমি সুযোগ নিলাম। বেশ কয়েকটা স্প্যানিশ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তারা আমাকে লিখে পাঠালো, ভারতীয়রা স্প্যানিশ ভ‍াষায় একদম কাঁচা। তাই আমাদের কাজ দেওয়া যাবে না। কথাটা প্রচণ্ড গায়ে লাগলো। তখন আমার বয়স ১৭। এতো কম বয়সী একজন মানুষকে হারানো কঠিন। যতই শক্তিশালী হন না কেন আপনি।
আমি সঙ্গে সঙ্গে স্পেনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র জোগাড় করলাম অনলাইনে যোগাযোগ করে। তাদের বললাম, তোমরা আমার জন্য কাজ করো। তোমাদের সফলতার ওপরই সম্মানি নির্ধারণ হবে। তারপর আমাদের আজ পেছনে তাকাতে হয়নি। একই পদ্ধতিতে আমরা ইতালির মার্কেটও ধরে ফেলি।
আমার জন্ম ৪ নভেম্বর, ১৯৮৬। আর আমার প্রতিষ্ঠান শুরু হলো যখন বয়স ১৭। আমি প্রযুক্তিকে শেখার চেষ্টা করি। আমি কখনই মনে করি না আইটি কোনো টেকনোলজি। আমি মনে করি আইটি হলো বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের টুলস। এ স্লোগান নিয়েই গ্লোবাল ধারণার জন্ম।
বলতে গেলে একটি সাইবার ক্যাফে থেকে গ্লোবাল তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলাম। তখনও টাকাটা আমার কাছে মূখ্য ছিল না। আমি কাজ করতে চাইতাম। শিখতে চাইতাম। আগ্রহ মানুষকে বদলে দিতে পারে। জানার আগ্রহটাই বড়। টাকার পেছনে ছুটলে সারাজীবন শুধু এর পেছনেই ছুটে যেতে হয়। তাই কাজটাই আসল। নিত্যনতুন বিষয় শেখাটাই জীবনের সেরা অর্জন।

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

প্রথমে Android ADT Bundle  ডাউনলোড করে আনজিপ করে নিন। তার জন্য ভিজিট করুনঃ
 এই লিঙ্ক টা কপি করে আপনার browser এ পেস্ট করুন আর ডাউনলোড করুন তারপর
      আনজিপ করার পর আপনি Eclipse ফোল্ডার থেকে Eclipse.exe ওপেন করুন।এবার আপনি Android App তৈরি করার জন্য প্রস্তুত।
    Eclipse থেকে File >> New >> New Android Project এ ক্লিক করে নতুন একটি প্রজেক্ট খুলতে পারবেন।
    new test project
    আপনার এপলিকেশনের নাম দিন। প্রজেক্ট এবং Package Name এর নাম দিন। তারপর নেক্সট এ ক্লিক করুন। Configure Launcher Icon থেকে আপনার পছন্দের আইকন এবং রঙ দিন। কিছু না দিলে ডিফল্ট মান ব্যবহার করা হবে। এভাবে নেক্সট করে ফিনিস করুন। তাহলে আপনার জন্য একটা টেস্ট এপলিকেশন তৈরি হবে। এবার আপনার ইচ্ছে মত কোড লেখার জন্য তৈরি হয়ে গেছে। আপনাকে প্রথমে XML layout এর গ্রাফিক্যাল লেয়াউট দেখাবে।
     কোড দেখতে চাইলে নিচের দিক থেকে activity_main.xml এ ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন।  Eclipse এর Package Explorer এ আপনি যদি আপনার এপলিকেশনের ফাইল দেখেন তাহলে অনেক গুলো ফাইল দেখতে পাবেন।  ঐখানে অন্যান্য জাভা ফাইল, ক্লাস ফাইল এবং লাইব্রেরী গুলো রয়েছে। আস্তে আস্তে ঐগুলো জানার চেষ্টা করুন ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে।
    জাভার কোড গুলো দেখতে প্যাকেজ এক্সপ্লোরারের Src ফোল্ডারের ঐখান থেকে দেখতে পারবেন।
    new test project java
    এবার আপনি প্রজেটটি রান করানোর জন্য বা টেস্টিং এর জন্য প্রস্তুত।
    রান করার জন্য Run Menu থেকে Run এ ক্লিক করে রান করা যাবে। বা Ctrl + F11 এ ক্লি করেও রান করানো যাবে। অথবা Run Icon এ ক্লিক করেও রান করানো যাবে। নিচের ছবিটি দেখতে পারেনঃ
    run android project
    অ্যাপ টেস্ট আগে আমরা একটি এন্ড্রোয়েড ভার্সুয়াল ডিভাইস/ইমিউলেটর তৈরি করে নি।  তার জন্য  Eclipse এর আইকন নেভিগেশন মেনু থেকে Android Virtual Device Manager ওপেন করুন।
    তাহলে Android Virtual Device Manager ওপেন হবে। ঐখানে এখনো কোন Android Virtual Device নেই কারন আমরা তৈরি করি নি। একটা তৈরি করার জন্য New তে ক্লিক করুন।
    • প্রথমে আপনার ডিভাইসের একটা নাম দিন, যেমনঃ JellyBean [ কোন স্পেস থাকতে পারবে না]
    • Target থেকে এন্ড্রোয়েডের কোন ভার্সনের ভার্সুয়াল ডিভাইস তৈরি করবেন তা ঠিক করুন। আমি 4.1 সিলেক্ট করলাম।
    • SD Card অংশ থেকে আপনার ভার্সুয়াল ডিভাইসের জন্য কতটুকু স্টোরেজ দিবেন তা দিন। ১ জিবি- আপনার হার্ডিস্কের ক্ষমতা অনুযায়ী দিতে পারেন।
    • অন্যান্য গুলো আপাতত ডিফল্ট হিসেবে রাখুন।  তারপর Create AVD তে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার জন্য একটা ভার্সুয়াল ডিভাইস তৈরি হয়ে হবে।
    • এবার ভার্সুয়াল ডিভাইসটি সিলেক্ট করে Start এ ক্লিক করুন এবং লঞ্চ করুন। তাহলে আপনার ভার্সুয়াল ডিভাইস ওপেন হবে। দেখুন আমার ভার্সুয়াল Jelly Bean :)
    • আপনি Ctrl+F11 চেপে স্কিন রোটেট করতে পারবেন।
    আমাদের এন্ড্রোয়েড ভার্সুয়াল ডিভাইস রেডি। এবার প্রথমটি আমরা রান করে দেখতে পারি।
    সব কিছু ঠিক আছে কিনা তা চেক করার জন্য  Eclipse এর Run বাটনে ক্লিক করুন। এবং Android Application সিলেক্ট করুন। তাহলে আপনার ভার্সুয়াল ডিভাইসে আপনাকে আপনার প্রথম টেস্ট এপলিকেশন দেখাবে।
    স্বাগতম এন্ড্রোয়েডে এপলিকেশন ডেভলপমেন্টের দুনিয়ায় :) আশা করব সুন্দর কিছু এপলিকেশন তৈরি করতে পারবেন.

    রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

    সাইবার জগতে ‘সার্চ’ বা ‘খোঁজা’ শব্দ দু’টি খুব শিগগিরই ‘গুগল’ শব্দ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হওয়াটা প্রায় অবধারিত। ইতোমধ্যেই গুগল শব্দটি খোঁজা অর্থে ইংরেজি অভিধানে স্থান পেয়েছে।
    বিশ্বজুড়ে মানুষ গুগলে কী খোঁজে? জানতে আগ্রহ হতে পারে অনেকের। গুগল সাধারণ মানুষের সেই আগ্রহের কথা বিবেচনা করেই নিয়মিত প্রকাশ করেছে ‘ইয়ার ইন সার্চ’ নামে সার্চের শীর্ষে থাকা শব্দ ও শব্দগুচ্ছের তালিকা।
    গুগলের প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, google.com.bd তে খোঁজা বাংলাদেশি ব্যক্তিত্বের মধ্যে শীর্ষে আছেন আলোচিত মডেল নায়লা নাঈম। আর এতে খোঁজা অন্যসব ব্যক্তির (দেশি-বিদেশি) মধ্যে তার অবস্থান পঞ্চম।
    বাংলাদেশের মানুষদের গুগলে খোঁজা আলোচিত মানুষদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত নগ্ন ছবি ফাঁস হওয়া অস্কার বিজয়ী হাঙ্গার গেমস খ্যাত নায়িকা জেনিফার লরেন্স। এরপরেই আছেন যথাক্রমে রবিন উইলিয়ামস, সুচিত্রা সেন, জেমস রদ্রিগেজ, নায়লা নাঈম, অমৃতা অরোরা, কৃতি শ্যানন, আঁখি আলমগীর, অর্পিতা খান এবং নেইমার।
    তবে সামগ্রিক অনুসন্ধান বিবেচনায় শীর্ষস্থানে রয়েছে শিক্ষা বিষয়ক অনুসন্ধান। গুগলের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের আলোচিত অনুসন্ধানে প্রথম স্থানে রয়েছে ‘এসএসসি ফলাফল-২০১৪’। এরপর ক্রমানুসারে রয়েছে- এইচএসসি ফলাফল ২০১৪, বিশ্বকাপ ২০১৪, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এনটিআরসিএ, আইপিএল ২০১৪, কিক, ব্যাং ব্যাং এবং ঈদ এসএমএস।
    বাংলাদেশে গুগলের কমিউনিকেশন ও পাবলিক অ্যাফেয়ার্স প্রধান জেফরি ইউসুফ বলেন, ‘গুগল সার্চ একটি সাংস্কৃতিক ব্যারোমিটার হিসেবে কাজ করে। যেসব মুখ্য ঘটনা, জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ও আলোচিত প্রবণতাগুলো সমষ্টিগতভাবে বাংলাদেশিদের জীবনে প্রভাব বিস্তার করেছে সেসবের একটি প্রতিচ্ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরে। বেশিরভাগ মানুষই তথ্যের জন্য গুগলের কাছে আসে এবং আমরা বিশ্বাস করি, যে তালিকা আমরা বাংলাদেশের অনুসন্ধানের ওপর তৈরি করেছি সেটা জাতীয় ভাবধারা বা সময়ের সাথে মানানসই।’
    এতো জানা গেলে বাংলাদেশের মানুষের খবর। গুগল বিশ্বব্যাপী ২০১৪ সালে কোন বিষয়গুলো মানুষের মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়েছে সেটাও তুলে ধরেছে গুগল সার্চ।
    শীর্ষ ১০ আন্তর্জাতিক আলোচিত অনুসন্ধানের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে রবিন উইলিয়ামস। এরপরেই রয়েছে- বিশ্বকাপ, এবোলা, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স, এএলএস আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ, ফ্ল্যাপি বার্ড, কনচিটা উরস্ট, আইএসআইএস, ফ্রোজেন এবং সচি অলিম্পিক।
    এছাড়াও বিশ্বব্যাপী গুগল ইয়ার ইন সার্চ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য ইন্টারেক্টিভ ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন তৈরি করেছে। এই বার্ষিক ভিডিও দেখা যাবে google.com/2014 এই ঠিকানায়।
    আর এই ওয়েবে ঠিকানায় গেলে জানা যাবে আরো চমকপ্রদ তথ্য। মানুষ কত বিচিত্র রকমের তথ্য খোঁজে গুগলে।
    সেলফি শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বজুড়ে আলোচিত একটি বিষয়। সেলফি নিয়ে যেমন রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টা তেমনি রয়েছে সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা। এক্ষেত্রে নারী বা পুরুষ কেউই পিছিয়ে নেই। ভালো সেলফি তুলতে গুগলে সার্চ হয়েছে অনেক বেশি। ২০১৪ সালে সেলফি মূলধারায় আকর্ষণ সৃষ্টি করে এবং গত বছরের চেয়ে অনুসন্ধান ৮ গুণ বেড়ে যায়। লোকজন জানতে চেয়েছে কীভাবে ‘আরো ভালো সেলফি’ তোলা যায়, এটি ৬ গুণ বেড়েছে। বাকিরা কেবল জানতে চেয়েছে ‘সেলফি কী’, এটি ২০১৩ এর চেয়ে ৩ গুণ বেড়েছে।
    তবে অবাক হলে সত্য যে ‘ছেলেদের সেলফি টিপস’ অনুসন্ধানের শীর্ষে এসেছিল গুগলে। ২০১৪ সালে বিশ্বে ‘গাই সেলফি টিপস’ এবং ‘মেন সেলফি টিপস’ এর অনুসন্ধান করা হয়েছে। কিন্তু কখনোই ‘গার্ল সেলফি টিপস’ এর জন্য অনুসন্ধান করা হয়নি।
    একটি সেলফি স্টিক এমন একটি সরঞ্জাম যা ক্যামেরার ফোকাস বাড়িয়ে ভালো সেলফি তুলতে সাহায্য করে। এ বছর ‘সেলফি স্টিক’ এর অনুসন্ধান ১৯ গুণ বেড়েছে।
    আর ২০১৪ সালের অনুসন্ধানে শীর্ষ পাঁচ সেলিব্রিটি সেলফির তালিকায় প্রথমে রয়েছে এলেন ডিজেনারেস। এছাড়াও রয়েছেন এমা স্টোন, ওবামা, কিম কার্দাশিয়ান এবং ড্যানসিয়া প্যাট্রিক।
    গুগল সার্চে সূর্যকে পেছনে ফেলে এগিয়ে ছিল চাঁদ। গুগলের তথ্য মতে, ২০১৪ সালে সূর্যের তুলনায় দ্বিগুণ সংখ্যায় অনুসন্ধান করা হয়েছিল চাঁদ। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ বা ‘ব্লাড মুন’ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যাতে চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদকে লাল রঙের দেখায়। এপ্রিলের ঘটনার কারণে এই সালে ‘moon’ এর অনুসন্ধান ব্যাপকভাবে বেড়েছিল।
    ১৯৬৯ সালে অ্যাপেলো-১১ চাঁদে অবতরণের ৪৫তম বার্ষিকী জুলাই মাসে উদযাপন করা হয়েছিল। একই সময়ে, অ্যাপোলো প্রোগ্রামের সঙ্গে সম্পর্কিত অনুসন্ধান শীর্ষে থেকেছে। নিল আর্মস্ট্রংয়ের জন্য করা অনুসন্ধান বিখ্যাত মহাকাশচারী জন গ্লেন, বাজ অলড্রিন এবং মহাকাশে যাওয়া প্রথম মানুষ ইউরি গ্যাগারিনের জন্য করা অনুসন্ধানগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে৷
    যুক্তরাষ্ট্রের লেখিকা, কবি, অধিকার কর্মী, এনটারটেইনার মায়া অ্যাঙ্গেলু মে মাসে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তার আত্মজীবনী ও কবিতার জন্য বিখ্যাত। তিনি আফ্রিকান-আমেরিকান নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অগ্রগামী ছিলেন এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি অসংখ্য সম্মান লাভ করেছেন। বেঁচে থাকার মূলমন্ত্রের অন্বেষণে পাঠকরা মায়া অ্যাঙ্গেলুর উদ্ধৃতির জন্য অনুসন্ধান করেছে আগের চেয়ে প্রায় ২১ গুণ। ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত তার প্রথম আত্মজীবনী ‘I know why the cage bird in the songs’ বইয়ের প্রতি আগ্রহ ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
    গুগলের আলোচনায় ছিল পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই। গত বছরের জাতিসংঘ বক্তৃতার পরে, ‘মালালা ইউসুফজাই’ অনুসন্ধান অক্টোবর মাসে ৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ‘মালালা নোবেল পুরস্কার’ ২৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ হলো সে কনিষ্ঠ নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
    তবে সবকিছুর চেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে ‘কী করে’ (how) শব্দটি দিয়ে কিছু জানার জন্য।
    এছাড়া ২০১৪ সালে কীভাবে, কে, কি, কেন এবং কখন এর অনুসন্ধানের মধ্যে শীর্ষে ছিল ‘কীভাবে’। ‘কে’ এর চেয়ে এর অনুসন্ধান ৮ গুণ বেশি। এরমধ্যে ইন্টারনেট সম্বন্ধে শীর্ষ স্থানীয় প্রশ্নগুলোর মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেছেন, ইন্টারনেট কী, ইন্টারনেট কবে আবিষ্কার করা হয়েছিল, আমার ইন্টারনেট ঠিক কতটা দ্রুত, আমার ইন্টারনেট এত স্লো কেন।
    কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা তাঁদের প্রয়োজনে অ্যাডোবি রিডার, অফিস, ফায়ারফক্স, ক্রোমের মতো সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করে রাখেন। কিন্তু বেশ কিছু অপরিচিত সফটওয়্যার আছে, যা কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাজে লাগতে পারে। প্রয়োজনীয় এই সফটওয়্যারগুলো আবার বিনা মূল্যেই পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীদের কাজে লাগবে এমন কয়েকটি সফটওয়্যার নিয়ে এই প্রতিবেদন।
    ডেক্সপট
    ডেক্সপট হচ্ছে বিনা মূল্যের ভারচুয়াল ডেস্কটপ সফটওয়্যার। আপনার পিসিতে একাধিক ডেস্কটপ তৈরি করার প্রয়োজন পড়লে এই সফটওয়্যার কাজে লাগাতে পারবেন। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে একাধিক ভারচুয়াল ডেস্কটপ তৈরি করে নেওয়া যায় এবং স্ক্রিনের কাজের পরিসর বাড়ানো যায়। প্রতিটি ভারচুয়াল ডেস্কটপ আলাদাভাবে কাজ করতে পারে এবং প্রতিটির আলাদা ওয়ালপেপার, রেজুলেশন ও আইকন সেট করা যায়। এক ডেস্কটপ থেকে আরেক ডেস্কটপে যাওয়ার সহজ সুবিধাও আছে। এতে কাস্টমাইজ করার সুবিধাও আছে। মাউস ও কিবোর্ড শর্টকার্ট দিয়ে প্রতিটি ডেস্কটপে যাওয়ার সুবিধাও রয়েছে।
    ডাউনলোড করার লিংক http://download.cnet.com/Dexpot/3000-2346_4-10580780.html
    রেইনমিটাররেইনমিটার
    উইন্ডোজে অপারেটিং সিস্টেমে ডেস্কটপ কাস্টমাইজেশন করার সুবিধা সীমিত। যাঁরা ডেস্কটপ কাস্টমাইজ করার সুবিধা চান, তাঁদের জন্য রেইনমিটার প্রয়োজনীয় একটি সফটওয়্যার হতে পারে। পুরো ডেস্কটপকে এ সফটওয়্যারটি ‘স্কিন’ হিসেবে রূপান্তর করে যাতে ব্যবহারকারী তাঁর সুবিধামতো উইজেট, নোট, অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারে। ডেস্কটপকে নিজের মতো করে সাজাতে রেইনমিটার কাজে লাগানো যেতে পারে। রেইনমিটার কমিউনিটি থেকে অসংখ্য স্কিন ডাউনলোড করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যাবে রেইনমিটারের ওয়েবসাইট ( http://rainmeter.net/ ) থেকে।
    কিপাস
    যাঁরা পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারেন না, তাঁদের জন্য প্রয়োজন এই সফটওয়্যারটি। নিরাপদে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার হচ্ছে কিপাস। আপনার গুরুত্বপূর্ণ সব পাসওয়ার্ড এই সফটওয়্যারটিতে সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং একটি মাস্টারপাসওয়ার্ড দিয়ে তা সুরক্ষিত রাখা যাবে। একবার লক করে দিলে এই পাসওয়ার্ড ডাটাবেজ নিরাপদ এলগরিদমের মাধ্যমে এনক্রিপটেড হয়ে যায় বলে সহজে ক্র্যাক করা সম্ভব নয়। এ সফটওয়্যারটি কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে ইন্টারনেটের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। কিপাস সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যাবে এর ওয়েবসাইট ( http://keepass.com  ) থেকে।
    রেকুভা
    মনের ভুলে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল মুছে ফেললে আফসোসের শেষ থাকে না। ক্যামেরার মেমোরি কার্ড, ইউএসবি ড্রাইভ, কম্পিউটার রিসাইকেল বিন কিংবা এমপিথ্রি প্লেয়ার থেকে মুছে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধারে রেকুভা সফটওয়্যারটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। এ সফটওয়্যারটি যদিও সব ফাইল ফেরত আনতে পারে না, তার পরও প্রয়োজনীয় অনেক ফাইল পুনরুদ্ধারে এ সফটওয়্যারটি কাজে দিতে পারে। রেকুভা ডাউনলোড করা যাবে এর নির্মাতা পিরিফর্মের ( www.piriform.com/recuva  ) ওয়েবসাইট থেকে।
    রিভো আনইস্টলার
    আপনার কম্পিউটারে কোনো ফাইল আনইনস্টল করার পরও কিছু ফাইল থেকে যেতে পারে। এর কারণে কম্পিউটারের গতিও কম হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে রিভো আনইনস্টলার সফটওয়্যারটি কাজে দেবে। এই সফটওয়্যার ইনস্টল করা হলে আনইনস্টল করা ফাইল স্ক্যান করে রিভো এবং কোনো ফাইল যদি আনস্টল করার পরও থেকে যায়, তা দূর করে এবং অন্য কোনো সমস্যা থাকলে তা দেখাতে পারে। এ সফটওয়্যারটি এক মাস বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে। ডাউনলোড করার লিংক ( www.revouninstaller.com  )
    ৭-জিপ
    যাঁরা জিপ ফাইল নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাঁদের উইনজিপের চেয়ে আরও শক্তিশালী সফটওয়্যার দরকার হতে পারে। ফাইল আর্কাইভের সফটওয়্যার হিসেবে ৭-জিপ কাজে লাগাতে পারবেন। বিনা মূল্যের ওপেনসোর্স ৭-জিপ সফটওয়্যারটি সব ফরম্যাটের জিপ ফাইল তৈরি ও খোলার জন্য কাজে লাগানো যায়। ডাউনলোড করার জন্য যেতে পারেন ( www.7-zip.org  ) ৭-জিপ ওয়েবসাইটটিতে।
    মানুষের চোখকে তার আত্মার প্রতিফলক হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা বাইরের জগতের জন্য এক প্রকার জানালা হিসেবে কাজ করে। চোখ শুধুমাত্র যে সৌন্দর্যের প্রতীক তাই নয়, এটা একইসঙ্গে স্বাস্থগত বিষয়ও ইঙ্গিত করে। আমাদের চোখের স্বাস্থ্য কেমন সেটা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে আমাদের জীবন যাপনের রীতিনীতির ব্যপক ভূমিকা রয়েছে। আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কম্পিউটার। আর অনেক মানুষ আছেন যাদেরেকে নিয়মিত কম্পিউটারে কাজ করতে হয় যাদের এটা থেকে বিরত থাকার কোন সুযোগ নেই। এজন্য চোখের সুস্থতা নিশ্চিত করতে চোখের যতœ নেয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি লম্বা সময় ধরে একটানা কম্পিউটার ব্যবহার করার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনার জন্য এ যতœ নেয়া বাঞ্চনীয়। সারা দিন কম্পিউটারে কাজ করার পর চোখে টান-টান অনুভূতি হওয়াটা সাধারণ একটা ব্যপার যেটা অস্বস্তিদায়ক। এটা অনেক কারণে হতে পারে যেমন, মনিটরের পর্দার খুব কাছাকাছি থেকে কাজ করা, মনিটরের উজ্জলতা, অস্পষ্ট অক্ষর, পর্দার সঙ্গে চোখের উচ্চতার অসামঞ্জস্য অথবা দীর্ঘ সময় ধরে স্ক্রিনের দিকে একভাবে চেয়ে থাকা। কম্পিউটার এখন বলতে গেলে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাজেই আমাদের নজর দেয়া উচিত কিভাবে আমরা চোখের যতœ নিতে পারি। যেন কম্পিউটারে কাজ করার পর চোখের পেশীতে কোন প্রকার টান-টান বা অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি না হয়। বিরতি নিন: অপলক দৃষ্টিতে স্ক্রিনের দিকে চাকিয়ে থাকলে চোখের পানি শুকিয়ে যায়। চোখের অস্বস্তি অনুভূতি এড়াতে এই পরামর্শটা সবথেকে বেশি দেয়া হয়ে থাকে। তালুর পরশ: দু হাতের তালু একটি অপরটির সঙ্গে ঘর্ষণ করে গরম করে তুলুন। তারপর আপনার হাতের তালু চোখের উপর রাখুন কমপক্ষে ১ মিনিট। এটা আপনার ক্লান্ত চোখে আরামের আবেশ আনতে সহায়তা করবে। দুই তিন বার এই প্রক্রিয়া পুনরাবৃত্তি করুন যতক্ষণ না আরাম বোধ করেন। আইলেভেল সামঞ্জস্যতা: টেলিভিশন হোক আর কম্পিউটার হোক স্ক্রিনের সঙ্গে আই-লেভেল উচ্চতার সামঞ্জস্যতার বিষয়টি চোখের স্বাস্থের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটারে কাজের ক্ষেত্রে এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ন একটি টিপস। ২০-২০-২০: এ অনুশীলনটি কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার সময় চোখে আরামদায়ক অনুভূতি বজায় রাখতে সহায়ক হবে। প্রতি ২০ মিনিট পর পর কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিন এবং কমপক্ষে ২০ ফুট দূরের কোন বস্তুর উপর দৃষ্টিপাত করুন অন্তত ২০ সেকেন্ডের জন্য। কনট্রাস্ট বজায় রাখা: কম্পিউটারে কাজ করার সময় হালকা রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর গাড় রঙের অক্ষর বাছাই করুন। তীব্র আলো পরিহার করুন: যথাযথ আলোর মধ্যে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। চোখে অস্বস্তিকর অনুভূতি এড়ানোর জন্য কম্পিউটারটি এমন স্থানে স্থাপন করুন যেখান থেকে টিউবলাইট অথবা জানার আলোর তীব্র প্রতিফলন ঘটে না। উজ্জলতা কমিয়ে কাজ করুন: কম্পিউটারের উজ্জলতা একটি সহনীয় মাত্রায় রেখে কাজ করা। উজ্জলতা বেশি হলে চোখের ওপর বেশি চাপ পড়ে এবং অস্বস্তিকর অনুভূতি অনুভূত হয়। বেছে নিন সবুজ: আমাদের চোখে শীথিল এবং আরামদায়ক অনুভূতির ক্ষেত্রে সবথেকে সেরা রং বিবেচনা করা হয় সবুজ রংকে। কাজের ফাকে জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকাতে পারেন। আপনার কর্মস্থল যদি চার দেয়ালে ঘেরা হয় সেক্ষেত্রে স্ক্রিনে সবুজ রংয়ের ওয়ালপেপার নির্বাচন করতে পারেন। বারবার পলক ফেলুন: কম্পিউটারে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে চোখের পলক ফেলা একটা ভালো উপায়। এতে করে চোখে আদ্রতার পরিমান স্বাভাবিক থাকে এবং শুস্কতা সৃষ্টি হয় না; যা কিনা অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করে। কম্পিউটার গ্লাস ব্যবহার করুন: কম্পিউটারে যারা কাজ করে থাকেন তাদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে এ গ্লাস। এটা চোখে অতিরিক্ত উজ্জল আলো, প্রতিফলন পড়া থেকে রক্ষা করবে আর আপনার চোখকে রাখবে শীথিল।
    বাইক আমাদের সবারই মোটামুটি প্রিয় বাহন, একটি ছেলে তার স্কুল জীবন থেকে স্বপ্ন দেখে কলেজে, বা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার পরে সে একটি বাইক কিনবে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বাইক একটু রিস্ক হয়ে পরে কারন আমরা বাইকার রা প্লাস রাস্তার মানুষ সচেতন না। কোন রোডে কিভাবে চলতে হবে আমরা জানি না। বাইক হাতে পাবার সাথে সাথে চোখ-কান বুঝে দে টান। প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজ বা সংবাদ দেখলে দেখা যাবে বাইক এক্সিডেন্টে
    মানুষ মরে যাবার ঘটনা। যায় হোক প্রিয় বাইকার ভাইয়েরা, আপনাদের কাছে আমার অনুরধ প্লীজ রাস্তাই যখন আপনার প্রিয় বাইকটি নিয়ে বের হবেন তখন একটু খেয়াল করে চালাবেন।
    আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করলাম কাউন্টডাউন। যে পাঁচটি বাইক (১৫০ সিসি) আছে সবার শীর্ষে।

    #০১ সুজুকি জিক্সার-

    সুজুকি জিক্সার
    সুজুকি তাদের নতুন মডেল জিক্সার আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বাজারে ছেড়েছে এই বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে। বাংলাদেশের ডিলারের কাছ থেকে যতটুকু জানা যায় তাঁরা নাকি ২০১৫ সালের প্রথমেই এই বাইক বাজারে ছাড়তে পারবে। ইতিমধ্যে প্রি-অর্ডার নেয়া শুরু হয়েছে। কি কি আছে বা এই সুন্দর মোটরসাইকেল কনফিগার কি আসুন জেনে নেই সংক্ষেপে-
    • ইঙ্গিন ১৫৪.৯ সিসি, ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলিং ইঞ্জিন।
    • ইঙ্গিন ক্ষমতা ১৪.৬ বিএইচপি, ৮০০০ আরপিএম।
    • অসাধারণ লুক সাথে ৫টি ম্যানুয়াল গিয়ার।
    • সামনের চাকার সাথে আছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিস্ক ব্রেক আর পেছনের চাকায় ব্যবহার করা হয়েছে ড্রাম ব্রেক।
    • মূল্য- এখনো জানা জায়নি।
    • বিস্তারিত আরও জানতে চাইলে এই লিংকে দেখুন।

    #০২ ইয়ামাহা এফজি- এফআই ২.০

    ইয়ামাহা এফজি- এফআই ২.০
    ইয়ামাহা তাদের জনপ্রিয় সিরিজ এফজিএস এর ভার্শন ২ বাজারে এনেছে। বাইকটির মডেল আগের টার উপরে বেজ করে করা হয়েছে। জাস্ট কিছু মডিফিকেশন করা হয়েছে। তবে এটি বাজারে আসার সাথে সাথে বেশ জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। ১৫০ সিসি বাইকের ভেতরে ইয়ামাহার এখন পর্যন্ত সব থেকে বেশি বিক্রীত সিরিজ এটি। আমাদের দেশেও এই বাইকের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ করা যায়। রাস্তায় বের হলে প্রতি ৫টি বাইকের ভেতরে একটি এফজিএস চোখে পড়বে। সুজুকির মতো এটিও ২০১৫ সালের প্রথম দিকে বাজারে আসবে বলে জানা গেছে। এবার সংক্ষিপ্ত আকারে জেনে নেই বাইকটির প্রাধান প্রধান বৈশিষ্ট্য-
    • ইঙ্গিন ১৪৯সিসি, ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলিং ইঞ্জিন।
    • ইঙ্গিন ক্ষমতা ১২.৯ বিএইচপি, ৮০০০ আরপিএম।
    • অসাধারণ লুক সাথে ৫টি ম্যানুয়াল গিয়ার।
    • এটিরও সামনের চাকার সাথে আছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিস্ক ব্রেক আর পেছনের চাকায় ব্যবহার করা হয়েছে ড্রাম ব্রেক।
    • মূল্য- এখনো জানা জায়নি।
    • বিস্তারিত আরও জানতে চাইলে এই লিংকে দেখুন।

    #০৩ হোন্ডা সিবি ট্রিগার-

    হোন্ডা সিবি ট্রিগার
    তালিকার ৩ নাম্বারে অবস্থান করছে আমার প্রিয় হোন্ডা কোম্পানির সিবি ট্রিগার মডেলের নতুন বাইকটি। এটি মূলত আগের “হোন্ডা উনিক্রন” এর নতুন সংস্করণ। আগের মডেলটি খুব বেশি সুনাম কুড়াতে না পারলেও এটি কিন্তু অনেক ভালো করছে। বাজারে আশার সাথে সাথে বাইক টি বেশ সারা ফেলে দিয়েছে। আর হোন্ডা কোম্পানিটি সবসময় সবার থেকে একটু আলাদা চিন্তা করেন। যেমন এই বাইকটি, মধ্য বয়স্ক বা পোলাপাইন সবাই ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু ওপরের ২টি মডেল কিন্তু ইচ্ছা করলেই সবাই ব্যবহার করতে পারবে না বা মানাবে না। কি কি ফিচারের কারনে বাইকটি সবার নজর কেড়েছে? জেনে নেই তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা-
    • ইঙ্গিন ১৪৯.১ সিসি, ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলিং ইঞ্জিন।
    • এক লিটার পেট্রোল খরচ করে যেতে পারে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ। যা অন্যান্য ১৫০ সিসির বাইকের ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব।
    • ইঙ্গিন ক্ষমতা ১৪ বিএইচপি, ৮৫০০ আরপিএম।
    • সাধারণ লুক সাথে ৫টি ম্যানুয়াল গিয়ার।
    • বাইকটির সামনে পেছনে দুই চাকার সাথেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। সাথে আছে মনো সাস্পেনশন।
    • মূল্য- ২,১৭,০০০ টাকা।
    • বিস্তারিত আরও জানতে চাইলে এই লিংকে দেখুন।

    #০৪ হিরো মোটর কপ এক্সট্রিম-

    হিরো মোটর কপ এক্সট্রিম
    কিছুদিন আগে বের হয়েছে এক্সট্রিম নামের হিরো মোটরকপের নতুন একটি মডেল। মূলত এটি আগের মডেল হিরো সিবিজেট এক্সট্রিমের নতুন ভার্শন। বাংলাদেশের বাজারে এই বাইকটি খুব বেশি বিক্রি বা সুনাম কুড়তে পারেনি। আমার মনে হয় হিরো মোটরকপ যখনি তাদের নাম হিরো হোন্ডা থেকে হিরো তে রুপান্তর করেছে তার পর থেকে ব্যবহার কারিদের এই কোম্পানির ওপর একটু অনিহা কাজ করছে (এটা আমার বেক্তি গত মতামত)। বাদবাকি আপনারা জানেন।
    এখন জেনে নেয়া যাক এই বাইকটির সংক্ষিপ্ত বিবরন-
    • ইঙ্গিন ১৪৯.২ সিসি, ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলিং ইঞ্জিন।
    • ইঙ্গিন ক্ষমতা ১৪.২ বিএইচপি, ৮৫০০ আরপিএম।
    • স্পোর্টস প্লাস বেসিক লুকের সংমিশ্রণ সাথে ৫টি ম্যানুয়াল গিয়ার।
    • বাইকটির সামনে পেছনে দুই চাকার সাথেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। সাথে আছে প্যারালাল সাস্পেনশন।
    • বাজার মূল্য সিঙ্গেল ডিস্ক ১,৯৭,০০০ টাকা আর ডবল ডিস্ক ২,১০,০০০ টাকা।
    • বিস্তারিত আরও জানতে চাইলে এই লিংকে দেখুন।

    #০৫ বাজাজ পালসার-

    বাজাজ পালসার
    তালিকার একেবারে নিচে আছে আমাদের সবার পছন্দের বাজাজ পালসার। এই বাইকটা বাজাজের অন্যতম সৃষ্টি। এটি এমন একটি বাইক, যেই এর ওপরে বসবে বা চালাবে তাকেই মানেবে। মানে আঙ্কেল হোক বা পোলাপাইন হোক সবার জন্য ফিট। বাজাজ বহুদিন যাবত এই বাইকের মডেলের সেরকম কোন পরিবর্তন আনে নি। যা করেছে শুধু রঙের কিছুটা ভিন্নতা ব্যাস আর কিছু না। বর্তমানে যেসব আধুনিক বাইক বের হচ্ছে তার তুলনায় বাজাজ অনেক পিছিয়ে আছে। তারপরেও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই বাইকের যথেষ্ট চাহিদা আছে। যারা জানেন না তাদের জন্য সংক্ষেপ জানিয়ে দিচ্ছি বাজাজ পালসারের বৈশিষ্ট্য-
    • ইঙ্গিন ১৪৯ সিসি, ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার ডিটিএস-আই এয়ার কুলিং ইঞ্জিন।
    • ইঙ্গিন ক্ষমতা ১৪.৮ বিএইচপি, ৯০০০ আরপিএম।
    • সাধারণ লুক সাথে ৫টি ম্যানুয়াল গিয়ার।
    • সামনের চাকায় আছে ডিস্ক ব্রেক, পেছনে চাকায় ড্রাম আর সাথে আছে প্যারালাল সাস্পেনশন।
    • বাজার মূল্য ১,৯৯,৯০০ টাকা।

    বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

    কয়েকটি ছোট খাট প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমার এই পোস্ট। যে কয়েকটি প্রশ্ন ফ্রীল্যান্সিং শুরুর আগে যে কারো মনে উদয় হয়। দেখি আমি কি কি বিষয় লিখতে পারি এখানে। তবে একটি লিস্ট করে ফেলি তার আগে। সত্যি বলতে কি, আমি আমার ফ্রীল্যান্সিং নিয়ে দুটি পোস্ট করার পর এ প্রশ্ন গুলোর সম্মুক্ষীন হয়েছি। তার থেকে চিন্তা আসল সব গুলো প্রশ্ন এক করে একটা পোস্ট করার, যেন যারা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারে না তারাও উপকৃত হয়। তার পর একটা একটা করে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবঃ
    • ফ্রীল্যান্সিং কেন করব।
    • ফ্রীল্যান্সিং সাইট গুলোতে কি কি কাজ করা যায়?
    • আমি কোন কাজ পারি না, আমি কিভাবে ফ্রীল্যান্সিং করব?
    • ফ্রীল্যান্সিং নিয়ে আমার কোন আইডিয়া নেই। আমি কি করব?
    • আমার কি কি শিখা উচিত?
    • আমি কোন সাইটে কাজ করা শুরু করব?
    • আমি কিভাবে ফ্রীল্যান্সিং শুরু করব।
    • আমি মোটামুটি কাজ পারি, কিন্তু কি করব বুঝতে পারছি না,।।
    • আমি কাজ পারি, বিড করে যাচ্ছি কিন্তু কাজ পাচ্ছি না।
    • টাকা কিভাবে পাবো?
    • টাকা কি সত্যিই পাবো?
    • টাকা কিভাবে খরচ করব :P
    >>>>>>ফ্রীল্যান্সিং কেন করবেন, তার উত্তর পাবেন আমার আগের লেখা দুটি পোস্টে। আমি এখানে লিঙ্ক দিয়েছি, আপনি যদি আগে পড়ে না থাকেন প্লিজ আগে পড়ে তার পর নিচের লেখা গুলো পড়বেন।
     এবার লিখব ফ্রীল্যান্সিং সাইট গুলোতে কি কি কাজ করা যায় তা নিয়ে।
    একদম সহজ থেকে শুরু করি, আপনি যা জানেন তা দিয়েই কাজ শুরু করতে পারবেন। নিচে ওডেস্কে কি কি জব পাওয়া যায় তার একটা স্কিনসর্ট। ছবির উপর ক্লিক করলে বড় করে দেখা যাবে। 
    odesk jobs

    এখানে ইল্যান্সে কি কি জব পাওয়া যায় তার একটা স্কিনসর্টঃ

    Browse Jobs   Elance
    এগুলো দেখে একটা ধারনা নেওয়া যাবে অনলাইনে কি কি কাজ পাওয়া যায়, কি ধরনের কাজ পাওয়া যায়। আপনি যদি উপরের যে কোন একটি কাজও পারেন, তাহলে আপনি অনলাইনে কাজ করতে পারবেন। যদিও এ গুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের কাজ অনলাইনে রয়েছে। আপনাকে তা খুজে নিতে হবে। আপনি যদি এ কাজ গুলোর একটিও ভালো মত না পারেন, তাহলে আপনার কাছে যে কাজটা ভালো লাগে এমন একটা কাজ শিখে নিতে পারেন। তারপর আপনি কাজ শুরু করতে পারেন। কাজ শিখে নিতে বেশি সময় লাগবে না। ভয় ফেলে বা শুরু না করলে কিভাবে শিখবেন? আজকের দিনটি  আপনার প্রিয় বিষয়টি শেখা শুরু করার জন্য কি একটি ভালো দিন নয়?
    একটা কথা কি, মানুষ যা নিয়ে ঘটাঘাটি করে সে দিকেই এক্সপার্ট হয়। কেউ প্রথম দিন ই সফল হয় না। আপনি যদি আজ থেকেই ফ্রীল্যান্সিং শুরু করেন তাহলে আজই না হোক কাল বা এক মাস পর অথবা এক বছর পর এক জন সফল ফ্রীল্যান্সার হতে পারবেন। আর আপনি যদি ফ্রীল্যান্সিং করতে গিয়ে ধোঁকা খান তাহলে আগামি কাল আপনি ঐসব দিক এড়িয়ে ভালো দিকে যেতে পারবেন। আপনি যদি প্রথা গত চাকরি করতে না চান, তাহলে আজ থেকেই ফ্রীল্যান্সিং সম্পর্কে জানা শুরু করুন। এখানে কাজের অভাব নেই। বিষয়ের ও অভাব নেই। আপনি সহযেই আপনার পছন্দের বিষয় নির্বাচন করে সামনে এগুতে পারবেন। অথবা একটা বিষয় নির্বাচন করলেন। তার পর দেখলেন আপনার ভালো লাগে না, আপনি সহজেই অন্য বিষয়ে পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে একটা বিষয় কে নির্বাচিত করে সামনে এগুনো ভালো। একটা বিষয় নিয়ে যে যত ঘাটবে সে তত ঐ বিষয় নিয়ে দক্ষ হতে পারবে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, আপনি যদি গ্রাফিক্সের কাজ যেনে থাকেন তাহলে চেষ্টা করবেন সব সময় গ্রাফিক্সের কাজ করার জন্য। দক্ষ মানুষের স্থান সব সময়েই উপরের দিকে, এবার তা যে বিষয়েই হোক না কেন। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক জন ফ্রীল্যান্সারকে এক সাথে অনেক কিছুর কাজ করতে হয়। সাজতে হয় ওয়ান ম্যান আর্মি। যাই করুন না কেন, আপনার লক্ষ্য কিন্তু স্থির রাখতে হবে।
    আপনি যদি কিছু কাজ জানেন, তাহলে নিচের যেকোন একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলে কাজ করার জন্য বিড করতে থাকুন। যে কাজটি পারবেন বলে মনে হয় তাতে বিড করুন। ক্লায়েন্টকে সুন্দর একটা মেসেজ দিন। কাজ পেতে বেশি সময় লাগবে না। আমি এখানে কিছু মার্কেটপ্লেসের লিঙ্ক দিচ্ছি। এর বাহিরে আরো অনেক গুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে।
    অনেকেই ফটোশফ পারেন, তাদের জন্যঃ
    আপনার ফটোগ্রাফি দিয়েও ভালো একটা ইনকাম করতে পারেন। আপনি কি ছবি বিক্রি করার কোন সাইটে ছবি আপলোড করছেন?
    আর আপনার গ্রাফিক্স আইডিয়াও ভালো। তাই ওডেস্ক অথবা 99Designer / Elance / oDesk এ একাউন্ট খুলে ঐ খানে গ্রাফিক্সের কাজ করতে পারেন। ভালো করবেন।। ফটোশপের কাজের অভাব নেই। ওডেস্কে একাউন্ট থাকলে বিড করুন। আর না থাকলে একটা খুলে নিন। যদি হেল্প এর দরকার হয় আমি যতটূকু পারি সাহায্য করব।  Good Luck
    ট্রিক্স গুলোঃঃ
    কাজের জন্য বিড করুন, নিয়মিত করবেন। একটা না একটা এপলিকেশনের রিপ্লাই পাবেনই। তখন স্মার্ট হয়ে কথা বলার চেষ্টা করবেন। যদি দেখেন আপনি স্মার্ট ভাবে কথা বললেও কাজে পেতে সমস্যা, তাহলে আপনার কথার মধ্যে বিনয়ী ভাব আছে কিনা তা দেখবেন।
    যে কাজ আপনি ১০০% পারবেন বলে মনে করেন তা কম টাকায় করে দেওয়ার অফার করবেন। প্রথম প্রথম দুই একটা কাজের জন্য যত ইচ্ছে খাটুন। দেখবেন কোনএকদিন আপনার এ খাটার কষ্ট উঠে আসবে। একটা প্রবাদঃ “Wounded Mind most powerful then normal”
    স্টিব জবসের “Stay Hungry, Stay foolish” এটা মনের মধ্যে গেথে ফেলুন। ক্ষুধা কিন্তু দুই ধরনের হয়, পেটের ক্ষুধা আর মনের ক্ষুধা। আপনার মনের ক্ষুধাকি জ্ঞানের? জ্ঞানের ক্ষুধা ছাড়া অন্য গুলো কিন্তু কাজে দিবে না। শেখার চেষ্টা করুন। আপনার জীবনের কষ্ট গুলো থেকেও। পেটের ক্ষুধাও কিন্তু কাজে দেয়। যখন আপনার পেটে খাবার বেশি থাকবে মস্তিস্ক তখন কম কাজ করে। কারন হচ্ছে খাওয়া বেশি খেলে পেটের ঐ খাবার গুলো হজম করার জন্য বেশি পরিমান রক্ত সঞ্চালন দরকার পড়ে, আর তাই মস্তিস্কে রক্তের ঘাটতি পড়ে। আর তাই তখন কিন্তু ভালো চিন্তা করা যায় না, প্রায় সময়ই দেখবেন খাবার পর ঘুম ঘুম ভাব হয়। আর পেট খালি থাকলে চিন্তা শক্তি সার্ফ হয়। তাই বলে আমি আপনাকে না খেয়ে থাকতে বলছি না। প্রয়োজনের থেকে একটু বেশি খাবেন না। [ আমি নিজে কিন্তু ভোজন বিলাসী :) ]
    আপনি যদি নিয়মিত বিড করে থাকেন, তারপর ও কোন কাজ না পান তাহলে আপনার কভার লেটার টা একটু অন্যরকম ভাবে লেখার চেষ্টা করুন। ক্লায়নেটের জাগায় আপনাকে চিন্তা করুন। কিভাবে একজন এপ্লাই করলে আপনি তাকে হারায় করতেন। আশাকরি কাজ হবে।  প্রথম প্রথম প্রয়োজনে দুই তিনটা মার্কেটপ্লেসে এক সাথে কাজের জন্য এপ্লাই করুন। সবাই চায় অভিজ্ঞতা।
    কাজ না করলে অভিজ্ঞতা কিভাবে হবে তাই না? যদি প্রথমে কেউই কাজ দিতে না চায়, তাহলে ফ্রী কাজ করার চেষ্টা করুন। নিচের লেখাটা দয়া করে পড়ুন।
    আশা করি আপনি কাজ পাবেন। যদি কাজ না পান, তাহলে হতাশ হবে না। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন নিয়মিত। কাজ পান নাই বলে বসে থাকার কোন মানে হয় না। আর কাজ পেলে কাজ কমপ্লিট করার পর আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। সেখান থেকে আপনি ব্যাঙ্কে ট্রন্সফার করতে পারবেন। ওডেস্ক, ইল্যান্স ইত্যাদি ব্যাঙ্ক সাফোর্ট করে। অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি মানিবুকার্স বা এমন কোন সিস্টেমে টাকা আনতে পারবেন। টাকা রুজি করলে দেখবে হাতে আসার অনেক গুলো পথ পেয়ে যাবেন। কিভাবে টাকা হাতে পাবেন, সে চিন্তা আপাতত না করলেও হবে।
    তাছাড়া আপনি মাস্টারকার্ড ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে কার্ড দিবে। আপনি ওডেস্ক বা ইল্যান্স থেকে কার্ডে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। এবং বাংলাদেশের যে কোন এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন। কার্ডের জন্য ফ্রী আবেদন করার জন্য পেওনিয়ারের সাইটে গিয়ে সাইন আপ করুন। নাম, ঠিকানা, ইমেইল, ইত্যাদি দেওয়ার সম একটু নির্ভুল ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করুন। এর পর আপনার ঠিকানায় কার্ড চলে আসবে। পরে যে কোন সময় কার্ডে টাকা ট্রান্সফার করে একটিভ করতে পারবেন। আর একটিভ করার পর আপনি যে কোন মার্কেটপ্লেসে কার্ড যুক্ত করে কার্ডে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।
    ধরে নিচ্ছি আপনি অনেক কিছু শিখছেন, তারপর কাজ শুরু করেছেন, অনেক টাকা রুজি করছেন, এবার তো খরচ করার সময় হয়েছে তাই না? কিভাবে খরচ করবেন তা বলে দিচ্ছি। একটা পার্টির ব্যবস্থা করুন। তারপর আমাকে দাওয়াত দেন :P এক সাথে আপনার টাকা গুলো খরচ করব।
    দোয়া করি আপনার ফ্রীল্যান্সিং জীবন অনেক সুন্দর হোক।

    রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪

    স্বপ্ন সম্পর্কে যদি সংজ্ঞা দিতে হয় তাহলে বলা যায়, ‘স্বপ্ন হচ্ছে মানুষের একটি মানসিক অবস্থা, যাতে মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা অবচেতনভাবে অনুভব করে থাকে। ঘটনাগুলি কাল্পনিক হলেও স্বপ্ন দেখার সময় সত্যি বলে মনে হয়। অধিকাংশ সময় দ্রষ্টা নিজে সেই ঘটনায় অংশগ্রহণ করছে বলে মনে করতে থাকে। অনেক সময়ই পুরনো অভিজ্ঞতার টুকরো টুকরো স্মৃতি কল্পনায় বিভিন্নভাবে জুড়ে ও পরিবর্তিত হয়ে সম্ভব অসম্ভব সব ঘটনার রূপ নেয়।’
    স্বপ্ন বিষয়ে অনেক মনস্তাত্ত্বিকই গবেষণা করেছেন। বিভিন্ন ব্যাখ্যাও তারা দাঁড় করেছেন। তবে আমাদের আজকের আয়োজনে আমরা আলোচনা করব প্যারিসে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি পিয়েরে-এট-মারিয়ে-কিউরিয়ে এর স্নায়ুবিজ্ঞানের একজন অধ্যাপক ও নিদ্রা বিশেষজ্ঞ ড. ইসাবেলে আরনুফ এর গবেষণার আলোকে স্বপ্ন বিষয়ক কিছু ব্যাখ্যা সম্পর্কে। আসুন জেনে নিই আরনুফের দেয়া স্বপ্ন বিষয়ক কিছু তথ্য সম্পর্কে।
    ১. অসংখ্য স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা রয়েছে একজন মানুষের :
    সত্যি কথা, একজন মানুষ অসংখ্য স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা রাখে। একজন মানুষ তার সারা জীবনে গড়ে প্রায় ১০০০০০ গুলো স্বপ্ন দেখে থাকতে পারেন যেটি এক রাতে ২৪ টিরও বেশি হতে পারে। প্যারিসে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি পিয়েরে-এট-মারিয়ে-কিউরিয়ে এর স্নায়ুবিজ্ঞানের একজন অধ্যাপক ও নিদ্রা বিশেষজ্ঞ ড. ইসাবেলে আরনুফ বলেন, ‘ কেউ কেউ তার দেখা স্বপ্নের ১/২ টি মনে রাখতে পারেন, কেউ একটিও মনে রাখতে পারেন না।’ মানুষের ঘুমের পর তাদের চিন্তাগুলোর উপরে ব্রেনের আধিপত্যের কারণেই মানুষ স্বপ্ন দেখে বলে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
    ২. স্বপ্ন শিখতে সাহায্য করে :
    আরনুফ জানিয়েছেন যে মানুষ তার জীবনের জাগতিক ঘটনাগুলোর প্রায় ৮৬ শতাংশ নিয়েই স্বপ্ন দেখে থাকে। সুতরাং আপনি যদি কোনো কোর্স বা পড়াশুনায় মনোযোগ দিয়ে থাকেন তবে তা আপনার স্বপ্নে এসে স্মৃতিতে বাঁধা পড়বে। অর্থাৎ আপনি ঐ কোর্স বা বিষয়টি নিয়েই স্বপ্ন দেখবেন এবং মনে রাখবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি ৯০ মিনিটের একটি কোর্স করেন তবে তার গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো অবশ্যই আপনার স্বপ্নে এসে ধরা পড়বে।
    ৩. দুঃস্বপ্ন হতে পারে মঙ্গলকর :
    ‘চেতনা ও বোধশক্তি’ নামক একটি প্রকাশনায় প্রকাশিত আরনুফের একটি গবেষণায় উঠে আসে যে, দুঃস্বপ্ন মানুষের জন্য বেশ শুভকর হতে পারে। কেননা যেমন ধরুন একজন তার ভবিতব্য পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের জন্য খুব দুশ্চিন্তায় থাকলে সেটি তার স্বপ্নে দুঃস্বপ্ন হয়ে ধরা দেবে। যার ফলে তার চেষ্টা আরও অনেক বেশি হবে। ফলত তার ইন্টারভিউ বা পরীক্ষাটি অনেক ভালো হবে। সুতরাং দুঃস্বপ্ন মানুষের জন্য মঙ্গলকরও হতে পারে।
    ৪. তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েও স্বপ্ন দেখা যায় :
    আমরা হয়ত শুনে থাকব যে শুধুমাত্র মানুষ যখন বিভোর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে কেবল তখনই স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আরনুফের গবেষণায় দেখা যায় যে, মানুষ হালকা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েও স্বপ্ন দেখতে পারে। তবে এটি তখনই সম্ভব যখন মানুষের ব্রেনটি অনেক বেশি ক্লান্ত থাকে।
    ৫. নারীদেরও স্বপ্নদোষ হতে পারে :
    শুধু যে পুরুষরাই স্বপ্নদোষে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাই না নারীরাও এই স্বপ্নদোষে আক্রান্ত হতে পারেন। মন্ট্রেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিশেষজ্ঞ এই বিষয়ে গবেষণা করে বলেন, পুরুষদের মতই স্বপ্নে নারীদের দেহের অর্গানগুলো কাজ করে এবং তারা স্বপ্নদোষে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
    ৬. আমরা সর্বোচ্চ ৩ টি স্বপ্ন মনে রাখতে পারি :
    অনেকের ধারণা মানুষ খুব বেশি হলে একটা স্বপ্ন দেখে। অথবা অনেকে বলেন যে একটি ঘটনার মাঝে আরেকটি ঘটনা ঠিক কীভাবে এলো বুঝতে পারছি না। সে আসলে অনেকগুলো স্বপ্নই দেখেছে কিন্তু তার মাঝে মনে রাখতে পারে সর্বোচ্চ ৩টি। এর চেয়ে বেশি স্বপ্ন তার একেবারেই মনে থাকে না।
    ৭. হাঁটলে স্বপ্ন মনে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে :
    ঘুম থেকে ওঠার পরপরই স্বপ্ন খুব কদাচিৎই মনে পড়ে। তবে আরনুফ বলেন, ঘুম থেকে ওঠার পরে হালকা হাঁটাহাঁটি করলে স্বপ্ন মনে পড়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। কেননা তখন ব্রেনটি আস্তে আস্তে স্থির হয় এবং স্মৃতি স্মরণে সহায়তা করে।
    ৮. স্বপ্ন ধারাবাহিকভাবে লম্বা হতে পারে :
    অনেকেই ধারাবাহিক স্বপ্ন দেখে থাকেন। অর্থাৎ একটি একটি ঘটনার কিছু অংশ, আরেকদিন বাঁকি অংশ এভাবে স্বপ্ন দেখে থাকেন। এই ধরনের স্বপ্নকে আরনুফ ব্যাখ্যা করেন ‘এপিক ড্রিমিং বা মহাকাব্যিক স্বপ্’ নামে।
    হাই …………………………………..
    আপনাদের কি কবর……………….
    আমি ওনেক বেসত তাকি ……………………
    কিনতু ১ মিনিট টাইম পেলে লিকতে বসে জাই….
    তাই আজ আপনাদের ওনন রকম একটি জিনিস জানব……………
    স্বপ্ন সম্পর্কে………
    স্বপ্ন সম্পর্কে যদি সংজ্ঞা দিতে হয় তাহলে বলা যায়, ‘স্বপ্ন হচ্ছে মানুষের
    একটি মানসিক অবস্থা, যাতে মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা অবচেতনভাবে অনুভব করে থাকে। ঘটনাগুলি কাল্পনিক হলেও স্বপ্ন দেখার সময় সত্যি বলে মনে হয়। অধিকাংশ সময় দ্রষ্টা নিজে সেই ঘটনায় অংশগ্রহণ করছে বলে মনে করতে থাকে। অনেক সময়ই পুরনো অভিজ্ঞতার টুকরো টুকরো স্মৃতি কল্পনায় বিভিন্নভাবে জুড়ে ও পরিবর্তিত হয়ে সম্ভব অসম্ভব সব ঘটনার রূপ নেয়।’
    স্বপ্ন বিষয়ে অনেক মনস্তাত্ত্বিকই গবেষণা করেছেন। বিভিন্ন ব্যাখ্যাও তারা দাঁড় করেছেন। তবে আমাদের আজকের আয়োজনে আমরা আলোচনা করব প্যারিসে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি পিয়েরে- এট-মারিয়ে-কিউরিয়ে এর স্নায়ুবিজ্ঞানের একজন অধ্যাপক ও নিদ্রা বিশেষজ্ঞ ড. ইসাবেলে আরনুফ এর গবেষণার আলোকে স্বপ্ন বিষয়ক কিছু ব্যাখ্যা সম্পর্কে। আসুন জেনে নিই আরনুফের দেয়া স্বপ্ন বিষয়ক কিছু তথ্য সম্পর্কে।

    ১. অসংখ্য স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা রয়েছে একজন মানুষের :

    সত্যি কথা, একজন মানুষ অসংখ্য স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা রাখে। একজন মানুষ তার সারা জীবনে গড়ে প্রায় ১০০০০০ গুলো স্বপ্ন দেখে থাকতে পারেন যেটি এক রাতে ২৪ টিরও বেশি হতে পারে। প্যারিসে অবস্থিত
    ইউনিভার্সিটি পিয়েরে-এট-মারিয়ে- কিউরিয়ে এর স্নায়ুবিজ্ঞানের একজন অধ্যাপক ও নিদ্রা বিশেষজ্ঞ ড. ইসাবেলে আরনুফ বলেন, ‘ কেউ কেউ তার দেখা স্বপ্নের ১/২ টি মনে রাখতে পারেন, কেউ একটিও মনে রাখতে পারেন না।’ মানুষের ঘুমের পর তাদের চিন্তাগুলোর উপরে ব্রেনের আধিপত্যের কারণেই মানুষ স্বপ্ন দেখে বলে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

    ২. স্বপ্ন শিখতে সাহায্য করে :
    আরনুফ জানিয়েছেন যে মানুষ তার জীবনের জাগতিক ঘটনাগুলোর প্রায় ৮৬ শতাংশ নিয়েই স্বপ্ন দেখে থাকে। সুতরাং আপনি যদি কোনো কোর্স বা পড়াশুনায় মনোযোগ দিয়ে থাকেন তবে তা আপনার স্বপ্নে এসে স্মৃতিতে বাঁধা পড়বে। অর্থাৎ আপনি ঐ কোর্স বা বিষয়টি নিয়েই স্বপ্ন দেখবেন এবং মনে রাখবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি ৯০ মিনিটের একটি কোর্স করেন তবে তার গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো অবশ্যই আপনার স্বপ্নে এসে ধরা পড়বে।

    ৩. দুঃস্বপ্ন হতে পারে মঙ্গলকর :

    ‘চেতনা ও বোধশক্তি’ নামক একটি প্রকাশনায় প্রকাশিত আরনুফের একটি গবেষণায় উঠে আসে যে, দুঃস্বপ্ন মানুষের জন্য বেশ শুভকর হতে পারে। কেননা যেমন ধরুন একজন তার ভবিতব্য পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের জন্য খুব দুশ্চিন্তায় থাকলে সেটি তার স্বপ্নে দুঃস্বপ্ন হয়ে ধরা দেবে। যার ফলে তার চেষ্টা আরও অনেক বেশি হবে। ফলত তার ইন্টারভিউ বা পরীক্ষাটি অনেক ভালো হবে। সুতরাং দুঃস্বপ্ন মানুষের জন্য মঙ্গলকরও হতে পারে।

    ৪. তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েও স্বপ্ন দেখা যায় :

    আমরা হয়ত শুনে থাকব যে শুধুমাত্র মানুষ যখন বিভোর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে কেবল তখনই স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আরনুফের গবেষণায় দেখা যায় যে, মানুষ হালকা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েও স্বপ্ন দেখতে পারে। তবে এটি তখনই সম্ভব যখন মানুষের ব্রেনটি অনেক বেশি ক্লান্ত থাকে।

    ৫. নারীদেরও স্বপ্নদোষ হতে পারে :

    শুধু যে পুরুষরাই স্বপ্নদোষে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাই না নারীরাও এই স্বপ্নদোষে আক্রান্ত হতে পারেন। মন্ট্রেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিশেষজ্ঞ এই বিষয়ে গবেষণা করে বলেন, পুরুষদের মতই স্বপ্নে নারীদের দেহের অর্গানগুলো কাজ করে এবং তারা স্বপ্নদোষে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

    ৬. আমরা সর্বোচ্চ ৩ টি স্বপ্ন মনে রাখতে পারি :

    অনেকের ধারণা মানুষ খুব বেশি হলে একটা স্বপ্ন দেখে। অথবা অনেকে বলেন যে একটি ঘটনার মাঝে আরেকটি ঘটনা ঠিক কীভাবে এলো বুঝতে পারছি না। সে আসলে অনেকগুলো স্বপ্নই দেখেছে কিন্তু তার মাঝে মনে রাখতে পারে সর্বোচ্চ ৩টি। এর চেয়ে বেশি স্বপ্ন তার একেবারেই মনে থাকে না।

    ৭. হাঁটলে স্বপ্ন মনে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে :

    ঘুম থেকে ওঠার পরপরই স্বপ্ন খুব কদাচিৎই মনে পড়ে। তবে আরনুফ বলেন, ঘুম থেকে ওঠার পরে হালকা হাঁটাহাঁটি করলে স্বপ্ন মনে পড়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। কেননা তখন ব্রেনটি আস্তে আস্তে স্থির হয় এবং স্মৃতি স্মরণে সহায়তা করে।

    ৮. স্বপ্ন ধারাবাহিকভাবে লম্বা হতে পারে :

    অনেকেই ধারাবাহিক স্বপ্ন দেখে থাকেন। অর্থাৎ একটি একটি ঘটনার কিছু অংশ, আরেকদিন বাঁকি অংশ এভাবে স্বপ্ন দেখে থাকেন। এই ধরনের স্বপ্নকে আরনুফ ব্যাখ্যা করেন ‘এপিক ড্রিমিং বা মহাকাব্যিক স্বপ্’ নামে।
    দশম বার্ষিক Guinness World Records Day উপলক্ষে ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা তুর্কি তরুণ সুলতান কোসেন এবং মাত্র সাড়ে ২১ ইঞ্চি উচ্চতার নেপালী বৃদ্ধ চন্দ্র বাহাদুর দাঙ্গি সম্প্রতি এসেছিলেন লন্ডনে। ব্রিটিশ পার্লামেণ্টের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে প্রথম বারের মত তারা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলালেনহাসলেন ক্যামেরার সামনে। ৩১ বছর বয়সি কোসেন করেন চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত। লাফ না দিয়েই তিনি ছুঁতে পারেন বাস্কেট বলের রিং। কেবল উচ্চতায় তিনি বিশ্বের ১ নং ননসবচেয়ে লম্বা হাতের (১১.২ ইঞ্চিরেকর্ড টিও তার দখলে। আর ৭৪ বছর বয়সী চন্দ্র বাহাদুর এই বয়সেও নেপালের প্রত্যন্ত রিমখলি গ্রামের পাহাড়ে গরু চড়াতে যান। তার ওজন মাত্র ৩২ পাউন্ড। 
    11 সবচেয়ে ছোট এবং সবচেয়ে লম্বা মানুষ প্রথমবারের মত হাত মেলালেন ক্যামেরার সামনে।

     
    বিপরীত রেকর্ডধারী এই দুটি মানুষ পাশাপাশি এসে আবিষ্কার করেনএত পার্থক্যের পরও একটি জায়গায় তাদের অনেক মিল। সেই উপলব্ধির কথা উঠে এল কোসেনের বক্তব্যে। তিনি বলেনশেষ পর্যন্ত চন্দ্র বাহাদুরের দেখা পেয়ে দারুন লাগছে। সে খাটোআর আমি লম্বাকিন্তু আমাদের দূজনকেই সারাজীবন একইরকম ভাবে সংগ্রাম করতে হয়েছে। চন্দ্রেরে দিকে তাকালে আমি একজন সত্যিকারের ভালো মানুষকেই দেখতে পাই।
     সবচেয়ে ছোট এবং সবচেয়ে লম্বা মানুষ প্রথমবারের মত হাত মেলালেন ক্যামেরার সামনে।